৪। কি সেবা কি ভাবে পাবেন :
(ক) জরুরী মুমুর্ষ রোগীগন হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আসার পর চিকিৎসকের পরামর্শ
অনুযায়ী ভর্তি যোগ্য রোগীদেরকে ভর্তি দেওয়া হয়।
(খ) ভর্তি যোগ্য রোগীদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক/কনসালটেন্ট গন বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষার
মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে রোগের ধরন ও রোগীর অবস্থা অনুপাতে ভর্তি ও চিকিৎসা দিয়ে
থাকেন।
(গ) বর্হিঃ বিভাগে আগত রোগী সরকার নির্ধারিত ৫(পাঁচ) টাকার বিনিময়ে টিকেট কাউন্টার হইতে টিকেট সংগ্রহ
করে চিকিৎসক কর্তৃক রোগের ধরন অনুপাতে চিকিৎসাসহ হাসপাতাল হতে ঔষধ
সরবরাহ করা হয়।
(ঘ) চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীর অসুস্থতার প্রয়োজনবোধে রক্ত গ্রুপিং, ইউরিন পরীক্ষা, বিভিন্ন ধরনের রক্ত
পরীক্ষা, ইসিজি, এক্স-রে, এবং সচল অবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রফী পরীক্ষা দিয়ে থাকেন।
সেবা এবং সেবার ধাপসমূহ:
১। জরুরী বিভাগ জরুরী সেবাঃ রোগী সাধারণ বর্হিঃ বিভাগ বন্ধকালীন সময়ে জরুরী বিভাগে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। ২। বর্হিঃ বিভাগ পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবাঃ আউটডোর/বর্হিঃ বিভাগ চলাকালীন সময়ে টিকেট কাউন্টার হইতে সরকার নির্ধারীত ৫/-
টাকার টিকেটের বিনিময়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন।
৩। আন্তঃ বিভাগ ভর্তিকৃত রোগীদের চিকিৎসা সেবাঃ আউটডোর/বর্হিঃ বিভাগ বা জরুরী বিভাগে আগত ভর্তি যোগ্য রোগীগনকে
সরকার নির্ধারীত টিকেট ১০/- টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা সহকারে ভর্তি দেওয়া হয়।
৪। আনুসাঙ্গিক মেডিকোলিগ্যালঃ রোগীগণের শারিরীক অবস্থা বা অসুস্থতা রোগের লক্ষণ অনুপাতে বিভিন্ন মেডিকোলিগ্যাল পরীক্ষা-
নিরীক্ষা করানো হয়।
৫। হাসপাতালে আগত রোগীদের ষ্ট্রোক জনিত কারণে ইসিজি পরীক্ষ করা হয়।
৬। রোগীদের অঙ্গপ্রতঙ্গ ভাঙ্গা ইনজুরি সংক্রান্ত এক্স-রে পরীক্ষা করানো হয়।
৭। গর্ভবতী মহিলাসহ বিভিন্ন জটিল সমস্যার কারণে পুরুষ/মহিলাদের (চালু থাকিলে) আল্ট্রাসনোগ্রাফী পরীক্ষা করানো হয়।
৮। এই হাসপাতালে গাইনী গাইনী চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ১৫ থেকে ৪৫ বৎসর বয়সী মহিলাদের জরায়ু ক্যান্সার/বায়া
পরীক্ষা করানো হয়।
৯। এই হাসপাতালে সরকারীভাবে সরবরাহকৃত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিনামূল্যে কুকুরের কামড়ের ইনজেকশান দেওয়া
হয়।
১০। (ক) এই হাসপাতালে শিশুর যত্নে আইএমসিআই ও পুষ্টি কর্ণার (খ) ওআরটি কর্ণার (গ) ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার খোলা হয়েছে।
১১। এই হাসপাতালে জন্ম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে লাইগেশন করা হয়।
১২। এই হাসপাতালে গাইনী ও শিশু ওয়ার্ডে ৩য়তলায় রুগ্ন অপুষ্টিজনিত আক্রান্ত শিশুদের জন্য স্যাম ইউনিট তথা দুইটি সীট বরাদ্ধ
রাখা হয়েছে।